Home » সন্তানের কোন আবদার মেটাব কোনটা না

সন্তানের কোন আবদার মেটাব কোনটা না

কর্তৃক W3zN1eHJfkU
0 মন্তব্য 345 ভিউজ

দ্বীপের (ছদ্মনাম) কোনো কিছুর জন্য বায়না ধরা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা সে চায় তা তাকে দিতেই হবে। কোনো কিছু পাওয়ার পর কিছুদিন সেটা নিয়ে মেতে থাকে, এরপর সেটির প্রতি সব আগ্রহ চলে যায়। শুরু হয় নতুন বায়না। দ্বীপের বয়স এখন ১৬। ছোটবেলা থেকেই সে এমন। তার আবদার একটা মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে। ১৬ বছর বয়সী সন্তানের মোটরসাইকেল কেনার আবদার মা-বাবা কি মেটাবেন? কিংবা এমন বায়না কি মেটানো উচিত?

কয়েক দিন আগে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উত্তরার একটি ঘটনা প্রবলভাবে আলোড়িত করল। নবম শ্রেণির ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা করেছে দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র। কয়েক দিন চিকিৎসার পর নবম শ্রেণির সেই কিশোর প্রাণে বেঁচেছে। খবরে জানা গেছে, দশম শ্রেণির কিশোরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বেশি দিনের নয়। ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণির কিশোর তার বাবার কাছে মোটরসাইকেল চেয়েছিল। এসএসসি পাস করার আগে বাবা তাকে এটা দিতে চাননি। তবে তিনি বলেছিলেন, এসএসসির পর ছেলেকে গাড়ি বা মাইক্রোবাস কিনে দেবেন। কিন্তু দশম শ্রেণির ছেলেটির সঙ্গে মিলে ঠিকই মোটরসাইকেল চালাত এই কিশোর। মা-বাবার কাছ থেকে হাতখরচের জন্য টাকা নিয়ে বাইকের তেল কেনা হতো। এরপর একদিন রাতে ডেকে নিয়ে দশম শ্রেণির কিশোর নবম শ্রেণির এই ছাত্রের শরীরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

অতিরিক্ত চাহিদা, পাওয়ার জন্য জেদ ধরা, না পেলে নানা রকম এলোমেলো আচরণ করা এগুলো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এতে শিশুরা অবিবেচক হয়। মা-বাবার অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতি সচেতনতা থাকে না। মা-বাবাকে কষ্ট দেয়, কোনো জিনিসের ঠিকমতো মূল্য দেয় না। কোনো জিনিসই তাদের বেশিক্ষণ আনন্দ দিতে পারে না এবং অপচয় করতে শেখে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা থাকলেই যে সন্তানের সব আবদার মানতে হবে, তা-ও একেবারে উচিত নয়। সন্তান বই কিনতে চাচ্ছে সে আবদার মেটানো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে কিন্তু মোটরবাইক, দামি স্মার্টফোন কিংবা গাড়ির আবদার মেটানো হলে তার নেতিবাচক প্রভাব সন্তানের ওপর পড়বেই। সন্তানের কোন আবদার মেটাবেন আর কোনটা মেটাবেন না এটা মা-বাবাদের জানা জরুরি।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র না দেওয়া

প্রত্যেক শিশুরই চাহিদা রয়েছে এবং বয়সভেদে চাহিদার পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ করারও সীমা থাকতে হবে। কোনো শিশুকেই বাড়তি খেলনা, পোশাক ইত্যাদি কিনে দিতে হয় না। কারণ তাতে শিশু বেশি বেশি জিনিসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে এবং কোনো কিছুই তাকে বেশি তৃপ্তি বা আনন্দ দিতে পারে না।

সব চাহিদাই না মেটানো

শিশুরা ছোটবেলা থেকে নানা কিছু পেতে চায়। কিন্তু মা-বাবা বা অন্যাদের সব চাহিদা পূরণ করা উচিত নয়। বড়রা যদি শিশুর সব চাহিদা পূরণ করেন, তবে শিশুর চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকে। একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দ্বীপের মা-বাবা ছোটবেলা থেকে কমবেশি তার সব আবদারই পূরণ করতেন। ফলে দ্বীপ অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে।

0

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন