৫০ বছর আগে দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে বেঁকে গিয়েছিল। তালাকের সময় তাঁদের পাঁচ সন্তান ছিল। তবু মনে হয়েছিল আর একসঙ্গে থাকা যাবে না। তালাকের পর আবার অন্য মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন দুজনেই। কিন্তু বন্ধুত্ব অমলিন ছিল হ্যারল্ড হল্যান্ড ও লিলিয়ান বারনেসের। চলতি বছর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তাঁরা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হ্যারল্ড হল্যান্ড ও লিলিয়ান বারনেস যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির বাসিন্দা। ১৯৫৫ সালে তাঁদের চার হাত এক হয়েছিল। এর পর একে একে তাঁদের পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। ১৯৬৭ সালে তাঁদের তালাক হয়। তবে তালাকের পরও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন হ্যারল্ড ও লিলিয়ান। অন্য মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তাঁরা। দুজনের দ্বিতীয় বিয়ে অনেক দিন টিকেছিল। ২০১৫ সালে হ্যারল্ডের দ্বিতীয় স্ত্রী ও লিলিয়ানের দ্বিতীয় স্বামী মারা যান। এর পর আবার পরস্পরের কাছাকাছি আসেন হ্যারল্ড ও লিলিয়ান।
তালাকের ৫০ বছর পর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এই সাবেক দম্পতির দেখা হয়েছিল। পরস্পরকে দেখে দুজনেই অনুভব করেছিলেন যে, মনের টান এখনো অটুট আছে। সেই থেকে আবার নিয়মিত যোগাযোগ শুরু। একপর্যায়ে ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তাঁদের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে।
কেন্টাকির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লেক্সিংটন হেরাল্ড লিডার জানিয়েছে, বরের বয়স এখন ৮৩ বছর। কনের ৭৮। ৫০ বছর আগে তালাকের ঘটনার সমস্ত দায় নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন হ্যারল্ড হল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘প্রথম বিয়ে না টেকার শতভাগ দোষ আমার। তবে তখন লিলিয়ানকে আমি সবই দিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের সন্তানদের অবহেলা করিনি আমি।’
হ্যারল্ড আরও বলেছেন, বিয়ে টিকিয়ে রাখতে এবার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবেন না। তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে অনেক কিছু করতে পারিনি। স্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তবে এবার যা করতে ইচ্ছে হবে, তাই করব আমরা। লিলিয়ান যেখানে ঘুরতে যেতে চাইবে, সেখানেই তাঁকে নিয়ে যাব আমি।’
এরপরই মোক্ষম কথাটি বলেছেন হ্যারল্ড। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ মাইলটি একসঙ্গে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
৫০ বছর পর হ্যারল্ড ও লিলিয়ানের ‘দ্বিতীয়’ বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের এক নাতি। ১৪ এপ্রিল কেন্টাকির স্থানীয় একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।