প্রতিপক্ষের নাম বায়ার্ন মিউনিখ হলেও সেভিয়ার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল না। থাকবে কী করে! ঘরের মাঠে কোনো জার্মান ক্লাব যে তাদের বিপক্ষে জিততে পারেনি! টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়, র্যামন সানচেজ পিজুয়ানে বায়ার্নের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও ২-১ গোলে ম্যাচটি হেরেছে সেভিয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে কাল রাতের এ হারে ফিরতি লেগে কঠিন সমীকরণের সামনে পড়ল স্প্যানিশ ক্লাবটি। সেমিফাইনালে উঠতে ১১ এপ্রিল বায়ার্নের মাঠে ফিরতি লেগে সেভিয়াকে ন্যূনতম ২-০ গোলে জিততে হবে। কেননা, বায়ার্ন শুধু গোল ব্যবধানেই নয়, দুটি ‘অ্যাওয়ে গোল’ সুবিধা নিয়েও এগিয়ে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হলে ‘অ্যাওয়ে গোল’ সুবিধায় বায়ার্নই উঠবে সেমিতে।
অথচ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পাবলো সারাবিয়ার গোলে সেভিয়াই এগিয়ে ছিল ম্যাচে। এর আগে একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও ৩২ মিনিটে ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেন সারাবিয়া। ৫ মিনিট পরই দুর্ভাগ্য পোড়ায় সেভিয়াকে। বায়ার্ন উইঙ্গার ফ্রাঙ্ক রিবেরির ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়ান সেভিয়া উইঙ্গার জেসাস নাভাস। তাঁর অবশ্য কোনো দোষ নেই। পায়ে লেগে বল দিক পাল্টে জালে ঢুকছিল। সেভিয়া গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পরে তা ঠেকানোর আগেই বল গোললাইন পার হয়ে যায়।
বিরতির পর ৬৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এ গোলেও ‘অনিচ্ছাকৃত’ অবদান রয়েছে সেভিয়ার! রিবেরির ক্রস থেকে হেড করেছিলেন থিয়াগো আলকানত্রা। বল সেভিয়া ডিফেন্ডার এসকুদেরোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, ম্যাচটা সেভিয়াই জিতিয়েছে বায়ার্নকে, কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা জানেন, ভাগ্য বায়ার্নের সহায় না হলে ম্যাচের ফল অন্য রকমও হতে পারত।
জয়টা খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে নয়। সে কারণেই হয়তো নিজের দলকে এখনই সেমিফাইনালে দেখছেন না বায়ার্নের তারকা ফরোয়ার্ড ফ্রাঙ্ক রিবেরি। সেভিয়ার খেলার প্রশংসাই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘সেভিয়া খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। প্রথমার্ধে আমরা খুব একটা ওপরে উঠে খেলতে পারিনি। বিরতির সময় কোচ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেন। আমরা ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। তবে এখনই নিজেদের সেমিফাইনালে কল্পনা করতে পারছি না।’